তাসকিন আহমেদ
তাসকিন আহমেদকে নিয়ে সম্প্রতি দেশের ক্রিকেট পাড়ায় নতুন এক গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বেশকিছু গণমাধ্যমের দাবি, বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ঘুমিয়ে থাকায় দেরি করে মাঠে যাওয়ার কারণেই নাকি তাকে একাদশে রাখা হয়নি।
যদিও বিসিবি সূত্রে জানা গেছে- উইকেট বিবেচনায় একজন ব্যাটসম্যান বেশি খেলাতেই তাসকিনকে সেই ম্যাচে ড্রপ করা হয়েছিল। কিছুটা দেরি হওয়ায় টিম বাস মিস করলেও জাতীয় সঙ্গীতের আগেই মাঠে প্রবেশ করেছিলেন এই পেসার।
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে দিনে দিনে ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে ভিউ-বাণিজ্য। বিশেষ করে ক্রিকেট। দর্শকদের আবেগকে পুঁজি করে বিভ্রান্তি ছড়ানোটা রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করেছেন অনেকে।
বিশ্বকাপ মিশন শেষে একদিন আগেই এলপিএল খেলতে দেশ ছাড়েন তাসকিন আহমেদসহ তিন ক্রিকেটার। তবে এর মাঝেই, ঢাকা এক্সপ্রেসকে ঘিরে গুজব ক্রিকেট পাড়ায়।
কিছু গণমাধ্যমের দাবি, ভারত ম্যাচের আগে ঘুমের কারণে নাকি দলের সঙ্গে মাঠে পৌঁছাতে পারেননি তাসকিন। এই পেসারের অপেশাদারিত্বে নাকি শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনায় বদল আনতে বাধ্য হন হাথুরুসিংহে।
যদিও বিসিবি সূত্রের খবর, আগের দিনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাসকিনকে খেলানোর কথা থাকলেও ম্যাচের দিন উইকেট দেখে বাড়তি ব্যাটার খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া আইসিসির নিয়ম মেনে নির্ধারিত সময়ে দলের সঙ্গে মাঠে উপস্থিতও হন ঢাকা এক্সপ্রেস। যার প্রমাণ হিসেবে আছে সেদিনের ফুটেজও। জাতীয় সঙ্গীতের জন্য মাঠের নামার সময় দলের সঙ্গেই ছিলেন তাসকিন।
জানা গেছে, ম্যাচের দিন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ছিল হোটেল থেকে টিম বাস ছাড়ার নির্ধারিত সময়। ৫ মিনিট দেরিতে ছাড়লেও সেখানে উঠতে পারেননি তাসকিন। পরে টিম ম্যানেজারের গাড়ি রেখে যাওয়া হয় তাসকিনকে মাঠে নেয়ার জন্য।
সে গাড়িতে চড়েই ম্যাচ ভেন্যুতে যান তাসকিন। মাঠে পৌঁছাতে টসের নির্ধারিত সময় পার হলেও তাকে ছাড়াই দলের পরিকল্পনা ঠিক হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়নি তেমন।
টিম ম্যানেজমেন্টের একজন পেসারের বদলে বাড়তি ব্যাটার খেলানোর কৌশল নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক। আঙুল তোলা যায় শরিফুলের না থাকা নিয়েও। তবে হেডকোচ কিংবা টিম ম্যানেজমেন্টের এমন প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তকে আড়ালে নিতে তাসকিন আহমেদের নাম জড়ানোটা একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তাসকিন যদি নিয়ম ভাঙতেন, তাহলে অন্তত বিশ্বকাপ শেষে এলপিএলে খেলার ছাড়পত্র পেতেন না। আর শেষে এসে ওই শুরুর কথা। ভিউ বাণিজ্যের যুগে ক্রিকেট নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর নমুনা এটাই প্রথম নয়।
আর এমন বিভ্রান্তি ছড়াতে কলকাঠি নাড়েন কিছু বিসিবি কর্তা। নিজের স্বার্থ হাসিলে নানান সময়ে নানান গুজব রটাতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় গণমাধ্যমকে।
