ঢাকা,  বুধবার  ১৬ অক্টোবর ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বৃদ্ধ জাকারিয়া (আ.) যে দোয়ায় সন্তান লাভ করলেন

প্রকাশিত: ১৩:০৪, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৃদ্ধ জাকারিয়া (আ.) যে দোয়ায় সন্তান লাভ করলেন

.

জাকারিয়া আলাইহিস সালাম ছিলেন বনি ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান নবী। এবং নবী ঈসা আলাইহিস সালামের মা মরিয়ম  আলাইহিস সালামের তত্ত্বাবধায়ক। মরিয়ম (আ.) বায়তুল মুকাদ্দাসে জাকারিয়া (আ.) এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। 

জাকারিয়া (আ.) যখন বায়তুল মুকাদ্দাসে মরিয়ম (আ.) এর লালন-পালন করছিলেন, তখন মরিয়ম (আ.) এর প্রতি মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার অসাধারণ নিদর্শন দেখে নিজের জন্যেও দোয়া করেছিলেন।

পবিত্র কোরআনুল কারিমে হজরত জাকারিয়া (আ.) এর সে আবেদন এভাবে উঠে এসেছে, هُنَالِكَ دَعَا زَكَرِيَّا رَبَّهُ قَالَ رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء

অর্থ: ‘সেখানেই জাকারিয়া (আ.) তার পালনকর্তার কাছে (এভাবে) প্রার্থনা করলেন। বললেন, হে আমার পালনকর্তা! তোমার কাছ থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান কর। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী’। (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ৩৮)

আয়াতের ব্যাখ্যামূলক অনুবাদ

সে স্থানেই হজরত জাকারিয়া (আ.) যখন দেখলেন এবং তার দৃঢ় প্রত্যয় ও জ্ঞান হলো যে, অসময়ে যিনি কোনো দ্রব্য আনয়নে সক্ষম নিশ্চয়ই তিনি অসময়ে এ বৃদ্ধাবস্থায়ও সন্তান দানের ক্ষমতা রাখেন। তার বংশের সবাই তখন শেষ হয়ে গিয়েছিল।

জাকারিয়া (আ.) মধ্যরাতে নামাজের জন্য মেহরাবে প্রবেশ করেছিলেন তখন তার প্রতিপালকের কাছে প্রার্থনা করে বলল, رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء

উচ্চারণ: ‘রাব্বি হাবলি মিল্লাদুংকা জুররিয়্যাতান ত্বাইয়্যেবাতান ইন্নাকা সামিউদ দোআ’।

অর্থ: ‘হে আমার প্রভু! আমাকে তুমি তোমার কাছ থেকে পবিত্র বংশধর সৎ সন্তান দান কর। তুমিই প্রার্থনা শ্রবণকারী, কবুলকারী’। (তাফসিরে জালালাইন)

হজরত জাকারিয়া (আ.) এর দোয়া করার অনুপ্রেরণা

জাকারিয়া (আ.) ছিলেন তখনও নিঃসন্তান ছিলেন। সময়টিও ছিল বাধ্যক্যের- যে বয়সে স্বাভাবিকভাবে সন্তান হয় না। তবে মহান আল্লাহর শক্তি সামর্থ্যের প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস ছিল যে, অলৌকিকভাবে এ বার্ধক্যের মধ্যেও তিনি সন্তান দিতে পারেন।

তবে অসময়ে ও অঞ্চলের বাইরে আল্লাহর মহিমা ইতোপূর্বে তিনি কখনো দেখেননি। তাই সাহস করে আল্লাহর কাছে দোয়া করেনি। কিন্তু এ সময় যখন তিনি দেখতে পেলেন যে, আল্লাহ তাআলা ফলের মৌসুম ছাড়াই মরিয়ম (আ.)-কে ফল-ফলাদি দান করেছেন; তখনই তার মনে মধ্যে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা জেড়ে উঠে আর তিনি দোয়া করার সাহস পেলেন।

যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ মৌসুম ছাড়াই ফল দিতে পারেন, তিনি বৃদ্ধ দম্পতিকে হয়ত সন্তানও দেবেন। (তাই তিনি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন।)