ঢাকা,  বুধবার  ০৩ জুলাই ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

রাশিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিএনপির অভিযোগ

প্রকাশিত: ২০:২৫, ৩০ জুন ২০২৪

রাশিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিএনপির অভিযোগ

সংগৃহীত ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপি পরিচালিত 'রিভল্ট' নামের ইংরেজি পেজটি দলটির পক্ষে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। সে কারণে এর মাধ্যমে ভুয়া তথ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট'র কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ভিন্ন মনোভাব ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু ভোটের পর পাল্টে যায় সেই দৃশ্যপট। ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গেই কাজ করতে আগ্রহী বলে ঘোষণা দেয় দেশটি। এমনকি নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ারও কথা জানিয়েছে মার্কিনিরা। আর সেই আগ্রহে 'চিড়' ধরাতে মাঠে নেমেছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে রাশিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে 'মনগড়া' তথ্য তুলে ধরেছে দলটি।

'শেখ হাসিনার সহায়তায় বাংলাদেশে রাশিয়ার প্রভাব দ্রুত বাড়ছে। টানা ক্ষমতায় থাকায় পরাশক্তি দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক বহু উচ্চতায় নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর এই বন্ধন যুক্তরাষ্ট্রকেও অনেকটা টপকিয়ে গেছে।' এমনই সব কথা লিখে বিএনপির অর্থায়নে পরিচালিত মিডিয়া সেলের অধীনে 'রিভল্ট' নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযোগ করা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনার সরকারকে নামাতে হোয়াইট হাউস কী করেছে বলেও প্রশ্ন রাখা হয়। এমনকি লিখার শেষে 'কিছুই, কিছুই, এবং কিছুই না!' বলে মন্তব্য করা হয়। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র যে কার্যকর কিছুই করতে পারছে না তা নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়। ঠিক একইভাবে ভারতসহ অন্য সব পরাশক্তি দেশকে ক্ষেপিয়ে তুলতে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি নিয়ন্ত্রিত এই এক্স অ্যাকাউন্টটি।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের সব দেশেরই সম্পর্ক বেড়েছে। এক্ষেত্রে চীন-রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র তথা পরাশক্তিরা কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। তবে জিও পলিটিক্সের মারপ্যাঁচে মাঝে মধ্যে ক্ষমতাধররা 'খোলস' বদলালেও শেষমেশ আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কেননা দলটির পররাষ্ট্রনীতি হলো 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়'। মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশের পাশে সবাই থাকতে চাইছে বলে মনে করছেন তারা। অন্যদিকে নানা কারণে বিএনপিকে এড়িয়ে চলছে যুক্তরাষ্ট্র। চোখ ফিরিয়ে নিয়েছেন দেশটির কূটনীতিকরাও। তাই নতুন করে সরকারের বদনাম গেয়ে মার্কিনিদের নজর কাড়তে চাইছে দলটি।

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপি পরিচালিত 'রিভল্ট' নামের ইংরেজি পেজটি দলটির পক্ষে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। সে কারণে এর মাধ্যমে ভুয়া তথ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট'র কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে কূটনৈতিক চালে বিএনপির এই চেষ্টা বিফলে যাবে বলে মনে করছেন সমালোচকরা।