সংগৃহীত ছবি
- বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বরেণ্য রাজনীতি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের চরিত্র হনন
- ফেসবুকে আক্রমণাত্মক, অসত্য, বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্য সংবলিত পোস্ট
- লন্ডনে চুরি করে থাকা জাওয়াদ নির্ঝরের বাড়ি মাগুরা
- তার দুই বোন পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত
- তার বাবাও দুর্নীতির দায়ে ছয় মাসের জেল খাটেন
বিদেশে বসে প্রধানমন্ত্রী, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বরেণ্য রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত কুৎসা রচনা করে তাদের চরিত্র হনন করে যাচ্ছেন জাওয়াদ নির্ঝর নামের এক 'কথিত সাংবাদিক'। এছাড়া প্রায়ই গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে করে যাচ্ছেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে কে এই জাওয়াদ নির্ঝর? কি তার উদ্দেশ্য?
'করাপশন ইন মিডিয়া' নামে ফেসবুক পেজ চালান জাওয়াদ নির্ঝর, যেটি তার অবৈধ আয়ের অন্যতম উৎস। কেননা সোস্যাল মিডিয়াভিত্তিক এই চ্যানেলের মাধ্যমেই তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ব্ল্যাক মেইল করে চাঁদাবাজি করেন।
বর্তমানে নির্ঝর লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করে সেখানে বসে সরকার ও দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। ফেসবুক পেজে আক্রমণাত্মক, অসত্য, বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্য সংবলিত পোস্ট দেওয়ায় জাওয়াদ নির্ঝরের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও হয়েছে।
মূলত লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতেই নির্ঝর তার চ্যানেলটির মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকার সমর্থক বিশিষ্ট ব্যক্তি ও কর্মকর্তাদের টার্গেট করে প্রতিবেদন তৈরি করেন বলে জানা গেছে, যাতে সরকার তার ওপর ক্ষুব্ধ এবং এটিই তার রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা দেবে বলে এই পথটি বেছে নেন নির্ঝর।
জাওয়াদ নির্ঝরের গ্রামের বাড়ি মাগুরা। তার বাবার নাম আবু মোশাররফ হোসেন। নির্ঝর গাজী টিভির স্পোর্টসে কাজ করতেন। ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি কাভার করতে লন্ডন গিয়ে চুরি করে সেখানেই থেকে যান। তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলাও রয়েছে।
লন্ডন যাওয়ার আগে বিভিন্ন পরিচিত মানুষের কাছ ২০ লাখের বেশি টাকা ধার নেন তিনি। তার বাবা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরে কর্মরত ছিলেন এবং দুর্নীতির দায়ে চাকরিচ্যুত হয়ে ৬ মাস জেলও খাটেন।
এছাড়া তার বড় বোন জেসমিন পতিতাবৃত্তি করে বেড়ান বলেও অভিযোগ রয়েছে। ঢাকার ফার্মগেট ও মগবাজার থেকে দুইবার পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হন তিনি। তবে সাংবাদিকতার প্রভাব খাটিয়ে বোনকে ছাড়িয়ে নেন নির্ঝর। তার ছোট বোন জেসিয়া মাগুরায় বাইজি নাচ,পতিতাবৃত্তি ও চুরির টাকায় মাগুরা শহরে ৭তলা বাড়ি বানিয়েছেন বলেও জানা যায়।
