ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৭ জুন ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

আবহাওয়া খারাপ থাকায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে দর্শনার্থী উপস্থিতি কম

প্রকাশিত: ২৩:০৩, ১৮ জুন ২০২৪

আবহাওয়া খারাপ থাকায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে দর্শনার্থী উপস্থিতি কম

সংগৃহিত ছবি

শ্রীপুরে ঈদের প্রথম দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দর্শনার্থী শূন্য ছিল। মঙ্গলবার (১৮ জুন) ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে সাফারি পার্কে দর্শনার্থী উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে, টিকিট কাউন্টারে ভিড় ছিল কম। পার্কের প্রধান ফটক ভিড় ছিল না। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে দর্শনার্থী সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

কোর সাফারি পার্কের প্রবেশ ফটকে ৮টি মিনিবাস দাঁড়ানো। কিছুক্ষণ পর পর দর্শনার্থীদের নিয়ে প্রাণীদের বেষ্টনীর ভেতর ঘুরে আসছে ওইসব মিনিবাস। কিন্তু এখানেও দর্শনার্থীর সংখ্যা কম। মিনিবাসে চড়ে পার্কের ভেতরে উন্মুক্ত পরিবেশে দেখা যায় বাঘ, সিংহ, ভালুক, জেব্রা, জিরাফসহ বিভিন্ন প্রাণী।

কোর সাফারির পশ্চিমে সাফারি কিংডমের প্রবেশ পথ। সেখানে আলাদা আলাদা টিকিট কেটে দর্শনার্থীরা দেখছেন ম্যাকাও, টিয়া, ঘুঘুসহ বিভিন্ন বিদেশি পাখি। কেউ কেউ আবার ম্যাকাও পাখির সাথে সেলফি নিচ্ছেন। মাঝেমধ্যে কয়েকটি ম্যাকাও পাখি উড়ে এসে দর্শনার্থীর গায়ে বসছে। এতে উচ্ছ্বসিত দর্শকেরা যে যার মতো ছবি তুলে নিচ্ছেন।

গাজীপুর আসপাড়া থেকে শুভা আক্তার সপরিবারে সাফারি পার্কে ঘুরতে যান। তিনি জানান, লোক সমাগম কম থাকায় ভালভাবে ঘুরতে পেরেছি। বাচ্চারাও বেশ মজা পেয়েছে। উন্মুক্ত বাঘ, সিংহ, জিরাফ ও জেব্রা দেখা বাচ্চাদের কাছে সবচয়ে উপভোগ্য মনে হয়েছে।

নেত্রকোনা থেকে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন আলামিন মিয়া। তিনি জানান, তার তিন বন্ধু খুব করে ধরেছে সাফারি পার্কে ঘুরতে। তাই তাদের নিয়ে এসেছেন।

তবে ঈদের পরদিন হিসাবে এখানে তেমন লোকসমাগম দেখতে পায়নি। তাছাড়া প্রতিটি জোনে আলাদা টিকিট ও কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে দর্শনার্থীরা আগ্রহ হারাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, কোরবানির ঈদ থাকায় দর্শনার্থীর ব্যস্ততা বেশি, সকাল থেকে আবহাওয়া ভালো না থাকার, দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম। প্রথম দিন এবার সকালে থেকে বিকেল পর্যন্ত দর্শনার্থী উপস্থিত সংখ্যা ছিল ২৪৮০জন। কিন্তু মঙ্গলবার সাফারি পার্কের সাপ্তাহিক বন্ধ সত্ত্বেও দর্শনার্থীদের কথা চিন্তা করে বিশেষ ব্যবস্থা খোলা রাখা হয়েছে। তারপরেও ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকেল পর্যন্ত দর্শনার্থী সংখ্যা ৩ হাজার ৬৭৬ জন। ঈদের তৃতীয় দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা বেশি।