ঢাকা,  শনিবার  ০৬ জুলাই ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

আসাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই; দাবি গাজীপুর পুলিশের

প্রকাশিত: ১৫:২০, ৩ জুলাই ২০২৪

আসাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই; দাবি গাজীপুর পুলিশের

ছবি: সংগৃহীত

টঙ্গীতে মাদকবিরোধী অভিযানে মারা যাওয়া আসাদুল ইসলাম আসাদের (৪৬) সুরতহাল প্রতিবেদনে ‘শরীরের কোথাও আঘাতের তেমন কোনো চিহ্ন নেই’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শনিবার মধ্যরাতের পর টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আসাদের মরদেহের সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে পুলিশ। 

সহকারী কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামান বলেন, ‘সুরতহাল রিপোর্টে শরীরের কোথাও আঘাতের তেমন কোনো চিহ্ন নেই। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী লাশটির ময়নাতদন্তের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।’ 

টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই শেখ সজল হোসেন বলেন, ‘আসাদের বাম বগলের নিচে ও ডান হাঁটুতে সামান্য চিহ্ন রয়েছে। নিতম্বে একটা কালো দাগ রয়েছে, এটা জন্ম দাগ হতে পারে।’ 

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে যাওয়ার পর ডাক্তার  আমাকে ইসিজি রিপোর্ট দেখিয়েছেন। সেখানে হার্ট এটাকে মারা গেছে বলে উল্লেখ রয়েছে। আসাদের বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা আছে কি না সেটা জানা নেই।’  

গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকায় র‌্যাবের অভিযানের শনিবার সন্ধ্যায় মাদকের বিরোধী অভিযানের সময় মৃত্যু হয় আসাদের। পরিবারের অভিযোগ র‌্যাবের নির্যাতনে আসাদের মৃত্যু হয়েছে। 

তবে র‌্যাব বলছে, আসাদ একজন মাদক কারবারি। অভিযান চালানোর সময় সে র‌্যাব সদস্যদের ওপর চড়াও হয়। পরে র‌্যাবের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আসাদ মারা যান। 

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি (অপারেশন)  রবিউল আজম জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। 

থানায় ময়নাতদন্ত শেষে আসাদের মরদেহ রোববার দুপুরে টঙ্গীর এরশাদ নগর ৫নং ব্লকের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। রোববার আসরের পর নামাজে জানাজা শেষে ৫ নম্বর ব্লকের কবরস্থানে আসাদের মরদেহ দাফন করা হয়।

স্থানীয় ক'জন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসাদ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার হাসাইল গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে আসাদ দীর্ঘদিন ধরেই এরশাদ নগর এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। এরশাদ নগর এলাকাতেই তার শ্বশুর বাড়ি। 

একজন বাসিন্‌দা বলেন, আসাদের শ্বশুর বাড়ির লোকজন মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত। আসাদের স্ত্রীর খালা লাইলি আক্তার মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বেশ কয়েকবার মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন। জেসমিনের ভাই আলমগীর  ও আলম মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।'