ঢাকা,  শুক্রবার  ০৫ জুলাই ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে

ঢাকায় প্রবেশ না করেই জয়দেবপুর থেকে মদনপুর

প্রকাশিত: ১৬:৫৯, ২ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ১৭:০০, ২ জুলাই ২০২৪

ঢাকায় প্রবেশ না করেই জয়দেবপুর থেকে মদনপুর

ছবি: সংগৃহীত

২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হতে পারে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে প্রকল্পের ৬০ শতাংশের কাজ। মহাসড়কটি সচল হলে ঢাকায় প্রবেশ না করেই জয়দেবপুর থেকে মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে।

গাজীপুরের মীরের বাজার এলাকায় সরেজমিনে এসব তথ্য জানান ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) সিইও জিয়াও ঝিমিং।

নতুন এ এক্সপ্রেসওয়ে বাংলাদেশের মহাসড়কে যোগাযোগে নতুন মাত্রা যোগ করবে। যা আরামদায়ক ও নিরাপদ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেবে। মহাসড়কটি ঢাকার ট্রাফিক নেটওয়ার্কের উন্নতি, যানজট নিরসন ও প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার পরে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে জানান জিয়াও ঝিমিং।

তা ছাড়া প্রকল্পের কে-১২ রেলওয়ে ওভারপাস (মিরের বাজার ফ্লাইওভার) ও ফুটপাথ নির্মাণ কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন ঝিমিং।

পরে চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি) ও চায়না এবং বাংলাদেশি মিডিয়া প্রতিনিধিদের কাছে প্রকল্পের বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।

 

 

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রথম পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে এ এক্সপ্রেসওয়ে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ (গ্রুপ) করপোরেশন লিমিটেড (এসআরবিজি), শামীম এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (এসইএল) এবং ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের (ইউডিসি) কনসোর্টিয়াম নামের তিন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। প্রকল্পের আর্থিক পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর সড়ক (ঢাকা বাইপাস) পিপিপি প্রকল্পটিতে আগের দুই লেন রাস্তা নতুন করে চার লেন করা হচ্ছে। তা ছাড়া পাশের দুটি সার্ভিস লেন স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। 

প্রকল্পে প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। মহাসড়কটি ২০২৫ সালের জুলাইয়ে মধ্যে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা আছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা শহরে প্রবেশ না করেই বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন সহজেই দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে দ্রুত ও সহজে চলাচল করতে পারবে।