ঢাকা,  সোমবার  ০১ জুলাই ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

নতুন ছয় আঞ্চলিক কার্যালয় ও স্যাটেলাইট অফিস স্থাপনের মাধ্যমে সারাদেশে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করেছে ব্রি

প্রকাশিত: ২২:১১, ২৮ জুন ২০২৪

নতুন ছয় আঞ্চলিক কার্যালয় ও স্যাটেলাইট অফিস স্থাপনের  মাধ্যমে সারাদেশে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করেছে ব্রি

সংগৃহিত ছবি

জলবায়ু সহিঞ্চু ও এলাকাভিত্তিক ধানের উন্নত জাত উদ্ভাবনে আরও বিস্তৃত গবেষণার জন্য আরও ছয়টি আঞ্চলিক ও সমান সংখ্যক স্যাটেলাইট কার্যালয় স্থাপন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। এজন্য ‘নতুন ৬টি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে স্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিদ্যমান গবেষণার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের লক্ষ্য দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টির যোগান দিতে আরও গবেষণা বাড়ানো।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে ‘নতুন ৬টি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে স্থানভিত্তিক জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিদ্যমান গবেষণাগার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রারম্ভিক ও প্রকল্প অগ্রগতি কর্মশালায় এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, পরিচালক (গবেষণা), এবং ড. মোঃ আব্দুল লতিফ, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ব্রি । প্রকল্প অগ্রগতি উপস্থাপন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসেন। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, উপ-প্রকল্প পরিচালক, এলএসটিডি প্রকল্প । অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্রির সিনিয়র লিয়াজোঁ অফিসার কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল মোমিন।

কর্মশালায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, আঞ্চলিক কাযালয় ও শাখা প্রধানগণ, সংশ্লিষ্ট প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসেন জানান, প্রকল্পের আওতায় ব্রি নতুন আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করবে কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায়। পাশাপাশি খুলনা, চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী, পঞ্চগড়, সিলেট ও ময়মনসিংহে আরও ছয়টি স্যাটেলাইট কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসেন জানান, বাংলাদেশের ধান উৎপাদন পরিবেশ অত্যন্ত বৈচিত্রময়। দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় স্যালাইন অঞ্চল এবং বন্যা-প্রবণ কেন্দ্রীয় অঞ্চল সম্পূর্ণভাবে উত্তর-পশ্চিম খরা-প্রবণ উচ্চভূমি থেকে ভিন্ন। এ বৈচিত্রময় এলাকাকে মোট ৩০টি প্রধান কৃষি পরিবেশগত অঞ্চলের মাধ্যমে বিভক্ত করা হয়েছে। দেশের ধান উৎপাদনের স্থিতিশীলতার জন্য স্থানভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

পরে “অধিক ফলনশীল হাইব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবন, গবেষণা ও আধুনিকায়ন” শীর্ষক প্রকল্পের রিভিউ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।