ঢাকা,  শনিবার  ০৬ জুলাই ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

আত্মহত্যার চিরকুট লিখে আত্মগোপনে

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ৩ জুলাই ২০২৪

আত্মহত্যার চিরকুট লিখে আত্মগোপনে

সুমাইয়া আত্মহত্যা করেছেন ধারণা করে মঙ্গলবার তার খোঁজে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তুরাগ নদে ডুবুরিরা দিনভর তল্লাশি চালান।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তুরাগ নদের পাড়ে জুতা ও আত্মহত্যার একটি চিরকুট লিখে রেখে আত্মগোপনে ছিলেন সেই কলেজ ছাত্রী। তার খোঁজে পরিবার, পুলিশ ও ডুবুরি দল নদীসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে ব্যর্থ হয়। অবশেষে ৩৭ ঘণ্টা পর বুধবার সকালে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।

উপজেলার কালিয়াদহ এলাকায় এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন ঘটনা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা করছেন উপজেলাবাসী।

ওই ছাত্রী হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার কালিয়াদহ এলাকার সোহরাব সিকদারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। তিনি এবার গুচ্ছতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

এলাকাবাসী, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সুমাইয়া সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কালিয়াদহ এলাকায় বাড়ির পাশে তুরাগ নদের পাড়ে তার জুতা ও আত্মহত্যার একটি চিরকুট লিখে রেখে আত্মগোপনে যায়। সেই চিরকুটে লেখা ছিল- ‘তোমরা যেমন সন্তান চাইছো, ওইরকম সন্তান হইতে পারি নাই আমি। আমি তোমাগো ইজ্জত রক্ষা করতে পারলাম না। পারলে মাফ কইরো। আমি ভিতর থেকে শেষ। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। নদীর পানিতে হয়তো পাইবা আমারে। ভালো থাইকো, মাফ কইরা দিও।’

এমন চিরকুট লিখে সুমাইয়া নিখোঁজ হওয়ায় তুরাগ নদে ঝাঁপ দিয়েছেন সন্দেহ করে ওইদিন রাতেই কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একদল ডুবুরি পরদিন মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই নদীতে তল্লাশি চালিয়েও সুমাইয়ার খোঁজ পায়নি ডুবুরি দল।

খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শরিফা আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়াও ওই গ্রামসহ আশপাশের এলাকার উৎসুক জনতা তুরাগ নদের পাড়ে ভিড় জমায়।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুমাইয়া বাড়িতে চলে আসেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে থানায় উপস্থিত হয়ে তার নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) প্রত্যাহার করেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যাওয়া একজন শিক্ষার্থীর এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা করছেন উপজেলাবাসী। তবে কী কারণে তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন- সেসব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে পরিবার শুধু একটি কথাই বলছে, ‘সুমাইয়া তার এক বান্ধবীর বাসায় ছিল।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম জানান, সকালে নিজেই বাড়িতে এলে তার পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে থানায় গিয়ে জিডি প্রত্যাহার করেন।