ঢাকা,  শনিবার  ২৯ জুন ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ঋণের তৃতীয় কিস্তি অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফ

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ২৪ জুন ২০২৪

ঋণের তৃতীয় কিস্তি অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফ

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের জন্য ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফ সদর দপ্তরে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদ সভায় সোমবার (২৪ জুন) এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে ঋণের অর্থ পাওয়া যাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ঋণ কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় কিস্তি অনুমোদনের জন্য গত ডিসেম্বরভিত্তিক শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করতে গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশে আসে আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল। সংস্থাটির ডেভেলপমেন্ট মাইক্রো ইকোনমিকস ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল দুই সপ্তাহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক ও পর্যালোচনা কার্যক্রম শেষে করে। এর পর গত ৮ মে আইএমএফ এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশ সরকার এবং আইএমএফ কর্মকর্তারা ঋণের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।

গত বছরের ৩০ জানুয়ারিতে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। এর তিন দিন পর আইএমএফ প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ছাড় করে। গত ১৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় করে। এবার ঋণের তৃতীয় কিস্তি অনুমোদন করেছে সংস্থাটি। 

এ ঋণের একটি অংশ জলবায়ু তহবিলের, যা বাংলাদেশকেই প্রথম দেওয়া হয়েছে। তাই, এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকুক, তা চায় আইএমএফ। এজন্য বাংলাদেশের অনুরোধে চতুর্থ কিস্তির জন্য আগামী জুন শেষে নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। অনেক শর্ত পূরণ করার পথে থাকলেও ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর থেকে রিজার্ভের ত্রৈমাসিক কোনো লক্ষ্যমাত্রাই পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। সরকারের অনুরোধে আইএমএফ পরে সংশোধন করে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেয়। এদিকে, আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেলে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ কিছুটা বাড়বে।

উল্লেখ্য, ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট ৭টি কিস্তিতে আইএমএফের ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির পরবর্তীগুলোতে সমান অর্থ থাকার কথা ছিল। কিন্তু, রিজার্ভ আরও কমে যাওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তিতে বেশি অর্থ চায় বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বেশকিছু কঠিন শর্ত বাস্তাবয়ন ও আগামীতে আরও বড় সংস্কার কার্যক্রমের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় সংস্থাটি তৃতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ডলারের পরিবর্তে ১১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার অনুমোদন দিয়েছে। তবে, মোট ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ একই থাকবে।