প্রতীকী ছবি
যতই রূপচর্চা করা হোক, ঠোঁটের রঙ যদি কালচে হয় তাহলে পুরো সৌন্দর্যই ম্লান হয়ে পড়ে। কারো ঠোঁট কালো হলেই ভাবা হয় সে ধূমপান করে। এটি একটি কারণ হলেও এর পেছনে আরও অনেক কারণ রয়েছে। শরীরে পানির অভাব হলে ঠোঁট শুষ্ক ও কালো হয়ে যেতে পারে। আবার অনেকক্ষেত্রে এর পেছনে লিপস্টিক বা লিপবামে থাকা রাসায়নিকও দায়ী থাকে।
ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার কারণ কী? এই সমস্যা দূর করার উপায় কী? চলুন বিস্তারিত জানা যাক-
ধূমপান
ধূমপানের কারণে ঠোঁটের টিস্যুতে নিকোটিন জমে। ফলে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। নিয়মিত ধূমপায়ীদের মধ্যে এটি সাধারণ সমস্যা।
অতিবেগুনী রশ্মি
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞের মতে, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ঠোঁটের রঙ কালো করতে পারে। বিশেষত সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে থাকলে।
অ্যালার্জি
অ্যালার্জি বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও অনেকসময় ঠোঁটের রঙের পরিবর্তন হতে পারে। কিছু অ্যান্টিবায়োটিক এই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আবার শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলেও এমনটা হয়ে থাকে।
রোগের ইঙ্গিত
অনেকসময় ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়া স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রোগের লক্ষণও হতে পারে। অ্যাডিসন রোগে শরীরের চামড়া ও ঠোঁটের রং কালো হয়ে যায়। একইসঙ্গে হিমোগ্লোবিন ডিজঅর্ডারের কারণে রক্তের অভাবে ঠোঁটের রং বদলে যেতে পারে। আবার লিভার ঠিকমতো কাজ না করলেও ঠোঁটের রঙে প্রভাব পড়তে পারে।
ঠোঁটের রঙ ফেরাতে করণীয়
নারকেল তেল
ঠোঁটের আর্দ্রতা ও সুরক্ষা প্রদান করে নারকেল তেল। লেবুর সঙ্গে এই তেল মিশিয়ে লাগালে ঠোঁটের রং ধীরে ধীরে হালকা হতে পারে। ঘুমানোর আগে নারকেল তেল আর লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। এছাড়া গোলাপের পাপড়ি আর মধুর মিশ্রণও ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণ ঠোঁটে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা দেয়।
বিটরুট
বিটরুটের রস ঠোঁটকে প্রাকৃতিক রঙ দেয়, ফলে ঠোঁট হয়ে ওঠে গোলাপি। এটি নিয়মিত লাগালে কালচে ভাব কমে যায়। তাজা বিটরুটের রস বের করে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে লাগান। অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। এই উপাদানটি ঠোঁটের ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে।
ভালো লিপস্টিক
সবসময় ভালো ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে যাওয়া লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না।