ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ০৪ জুলাই ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ভারত থেকে বিদায় নিলো দণ্ডবিধি ৪২০

প্রকাশিত: ১৬:১১, ২ জুলাই ২০২৪

ভারত থেকে বিদায় নিলো দণ্ডবিধি ৪২০

ভারত থেকে বিদায় নিলো দণ্ডবিধি ৪২০

ভারতে আর কেউ প্রতারণা ও জালিয়াতি ঘটনার জেরে ‘ফোর টোয়েন্টি’ বা ‘৪২০’ বলতে পারবে না।

সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হয়েছে নতুন ‘ন্যায় সংহিতা’ আইন। এটা ব্রিটিশ যুগের পুরনো দণ্ডবিধি ‘৪২০’ ধারার পরিবর্তন করেছে। প্রতারণা ও জালিয়াতির শাস্তি এখন নতুন ধারা ৩১৮ (৪)-এ অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া গৃহবধূ নির্যাতনের জন্য ৪৯৮ এ ধারা বদলে নতুন আইনে ৮৫ ধারা চালু হয়েছে।

খবর অনুসারে, ১৮৬০ সালে প্রণীত ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ পরিবর্তন করে নতুন এই আইন কার্যকর করা হয়েছে। ৩০ জুন রাত ১২টার আগে সংগঠিত অপরাধের বিচার হবে পুরনো দণ্ডবিধি অনুসারে, আর রাত ১২টার পরের অপরাধের বিচার হবে নতুন ন্যায় সংহিতা আইনে।

যদিও এই আইনের বদলকে একদল আইনজীবীও মেনে নেয়নি। আলিপুর, কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট ও শিয়ালদহের আদালতে আইনজীবীদের একাংশ এই আইনের প্রতিবাদ করে কালো ব্যাজ পরলেও আবার অনেকেই মামলায় শামিল হয়েছেন। তবে গতকাল বামফ্রন্ট, এসইউসিআইর ছাত্র সংগঠন ডিএসও, মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর, সিপিআই (এমএল) এবং নতুনকরে কলকাতায় গড়া ‘সংগঠন বাঁচাও সমিতি’ কলকাতায় এই আইনের প্রতিবাদে সভা সমাবেশ করেছে।

এদিকে এই আইন বলবৎ হওয়ার পর গতকাল কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারে একটি ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। সেখানে পুলিশ কর্মকর্তাসহ আইনজীবীরা অংশ নেন। এখানেই এই আইন নিয়ে আলোচনা হয়। জানানো হয় এই আইন কার্যকর হওয়ার পর প্রথম দিনেই কলকাতা পৌর এলাকায় দুই শতাধিক মামলা হয়েছে।

আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, এই আইন কার্যকর হওয়ায় অনেক আইনজীবী ও মক্কেল সমস্যায় পড়বেন। অনেকে আবার বলছেন, এই আইনে সংশোধন এনে বহু আইনকে আরও কড়া করা হয়েছে। দণ্ডের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। গণপিটুনির মতো অপরাধের শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস