ঢাকা,  মঙ্গলবার  ২২ অক্টোবর ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান ও কৃষিমন্ত্রীর পিএ মাকসুদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান ও কৃষিমন্ত্রীর পিএ মাকসুদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক

ফাইল ছবি

সংসদ সদস্য থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশ বিদেশে নিজের নামে ও পরিবারের নামে বেনামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বগুড়া-৫ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান। আর সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের পিএ পরিচয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তরগুলোতে নিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে কোটি কোটি টাকার কাজ নিয়ে কাজ শেষ না করেই বিল তুলে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন মো. মাকসুদ। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে দেশ-বিদেশে গড়েছেন বাড়ি-গাড়িসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুজনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই উঠে এসেছে। তাদের এসব অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের পিএ মো. মাকসুদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।  

কমিশনের ডেপুটি ডাইরেক্টর আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদক জানায়, বগুড়া-৫ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমের অভিযোগ রয়েছে। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার নিজ নামে, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়াও, তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অন্যদিকে, সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের পিএ মাকসুদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ নিয়ে কাজ সম্পন্ন না করিয়ে বিল উত্তোলন, বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার নিজ নামে, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়াও, তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।