ঢাকা,  মঙ্গলবার  ২২ অক্টোবর ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

টাঙ্গাইলে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর নামে হত্যা মামলা

প্রকাশিত: ১৬:১৭, ১৯ আগস্ট ২০২৪

টাঙ্গাইলে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর নামে হত্যা মামলা

সংগৃহিত ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় মিছিলে গুলিতে নিহত স্কুল শিক্ষার্থী মো. মারুফ মিয়াকে হত্যার অভিযোগে সাবেক কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর নামে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। 

রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে সদর থানায় মামলাটি করেছেন নিহত মারুফের মা মোছা. মোরশেদা। মামলায় ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন।

তিনি বলেন, শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৭ আসনের সাবেক এমপি খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল-৮ আসনের সাবেক এমপি অনুপম শাহজাহান জয়, টাঙ্গাইল-৪ আসনের সাবেক এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সহসভাপতি আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরণ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ফারুক, দপ্তর সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা, উপদপ্তর সম্পাদক আনন্দ মোহন দে, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ জামান সোহেল, আব্দুর রৌফ, যুবলীগ নেতা আতিকুর রহমান মোরশেদ, ফারুক হোসেন মানিক, ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া বড় মনি প্রমুখ। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট দুপুরে পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। বিকেলে ছাত্র জনতার উপস্থিতিতে বিজয় মিছিল বের হলে সেখানে মারুফ মিয়াও অংশ নেয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে বিজয় মিছিলটি শহরের মেইন রোড এলাকায় পৌঁছালে মিছিলটি পণ্ড করার জন্য অভিযুক্তরা রাইফেল, পিস্তল, শর্টগান ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এক পর্যায়ে মারুফ সিটি ব্যাংকের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নিলে অভিযুক্তরা সেখানে উপস্থিত হন। অভিযুক্তদের মধ্যে কেউ শর্টগান দিয়ে মারুফকে গুলি করেন। বিজয় মিছিলের ছাত্র জনতা মারুফকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।