ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ জুলাই ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

সমতলে ধানি জমিতে লেবু চাষ করে সৈয়দ আহাম্মদ মধুর ভাগ্যবদল

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ৯ জুলাই ২০২৪

সমতলে ধানি জমিতে লেবু চাষ করে সৈয়দ আহাম্মদ মধুর ভাগ্যবদল

সংগৃহিত ছবি

সমতল ধানি জমিতে বাণিজ্যিকভাবে লেবু চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন লক্ষ্মীপুরের চাষি সৈয়দ আহাম্মদ মধু। লেবু চাষে তার বদলে গেছে টানাপোড়েনের দিন। তিনি এখন স্বাবলম্বী।

২০১৮ সালে তিনি মাত্র ৬ শতাংশ জমিতে লেবু চাষ শুরু করেন। এরপর সম্প্রসারণ করে বর্তমানে তা দুই বিঘা জমিতে উন্নীত করেছেন তিনি।

মধু জানান, লেবু চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই তিনি বাগান বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। 

তিনি জানান, মৌসুমে দাম কম থাকার পরও তিনি এবার লেবু চাষ করে ৫০ হাজার টাকার মতো আয় করেছেন। অপর দিকে অফ মৌসুমে তিনি ৭০/৭৫ হাজার টাকা আয় করে থাকেন। 

লেবু বিক্রি করে বছরে তার আয় প্রায় ৮ লাখ টাকা বলে জানান তিনি। এ টাকা দিয়ে তার ৬ জনের সংসার সুখেই কেটে যায়। পারিবারিক ব্যয় নির্বাহ করে অতিরিক্ত অর্থ তিনি বিভিন্ন কাজে লাগিয়ে পরিবারের স্বচ্ছলতায় কাজে লাগাচ্ছেন।সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত ছাবির মিয়ার পুত্র সৈয়দ আহাম্মদ মধু ছোট বেলা থেকেই চাষাবাদে জড়িত রয়েছেন। ২০১৮ সালে তিনি তার প্রতিবেশী ও কৃষি উদ্যোক্তা সিরাজুল ইসলামের সহযোগীতায় ছয় শতাংশ ধানি জমিতে লেবু চাষ শুরু করেন। বছর না যেতেই তার বাগান থেকে লেবু বিক্রি শুরু করেন সৈয়দ আহাম্মদ। লাভজনক হওয়ায় তিনি প্রতি বছরই এ চাষ সম্প্রসারণ করে যাচ্ছেন। 

জানা যায়, বাণিজ্যিকভিত্তিতে লেবু সাধারণতঃ পাহাড়ি ও উঁচু জমির ফসল হলেও সৈয়দ আহাম্মদ ধানি নিচু জমিতে লেবু চাষ করে প্রচলিত সে ধারণা পাল্টে দিয়েছেন। তবে লেবুর কলম লাগানোর স্থানটিকে উঁচু স্তুুপ করে নিতে হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দ আহাম্মদের লেবু বাগানে হাঁটু পানি। সে বাগানে শতশত লেবু গাছে থোকায় থোকায় লেবু ধরে আছে। বাগানে লেবু তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন সৈয়দ আহাম্মদ।

এ সময় তিনি জানান, লেবু বারোমাসি ফসল। সারা বছরই কমবেশি লেবু উৎপাদিত হয়। ৬ বছর ধরে লেবু চাষ করে আসলেও কৃষি বিভাগ থেকে তিনি কোনো প্রকার পরামর্শ বা সহযোগীতা পাননি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও লক্ষ্মীপুরে কর্মরত এলজিইডির উপসহকারি প্রকৌশলী সহিদুল ইসলাম বলেন, সমতলে বাণিজ্যিকভাবে লেবু চাষ এই প্রথম দেখেছি। আগে আমাদের এলাকার মানুষ প্রবত্য চট্রগ্রামের পাহাড়ি লেবুর উপর নির্ভর থাকলেও সৈয়দ আহাম্মদের লেবু সে নির্ভরতা কমিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, সৈয়দ আহাম্মদের দেখাদেখি আরো অনেকেই লেবুচাষে এগিয়ে আসবেন। এতে বেকারত্ব দুর হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় লেবুর চাহিদা পূরণ হবে।