ছবি: সংগৃহীত
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলাধীন মুহুরী নদীর পানি সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে টইটুম্বুর। রাত যতো গভীর হয় ততই বাড়তে পানির স্রোত। এরপর ঘরের কিছু মালামাল পার্শ্ববর্তী বাড়িতে সরিয়ে নেয়া হলেও খাট-বিছানাপত্রসহ আসবাবপত্র সবটুকু সরানো যায়নি।
পানির প্রবল স্রোতে ঘরের পাশে বৃহদাকার একটি গাছ উপড়ে পড়ে। ধীরে ধীরে ভিটে থেকে মাটি সরে গিয়ে পানির চাপে টিনশেডের ঘরটি ভেঙে পড়ে। ততক্ষণে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন নুরুল করিম। তার বাড়ি ফুলগাজী সদর ইউপির উত্তর দৌলতপুর এলাকায় হাফেজ সাহেবের বাড়ি।
স্থানীয়রা জানান, ৩৪ বছর বয়সী নুরুল করিম রাজধানীর মহাখালী এলাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। বাড়িতে থাকেন স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান সিদরাতুল মুনতাহা ও মুহতাসিমুল হক ওয়াসিফ।
সরেজমিন দেখা গেছে, পানি ক্রমেই বাড়ছে। পানি কমলেও এখানে বাড়ি করার অবস্থা নেই। টিন ও বাঁশ ভেঙে পড়েছে। ভিটের মাটি বিলীন হয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী গাছটি বাঁধের ভাঙনস্থলে আগে উপড়ে না পড়লে আসবাবপত্র ভেসে যেতো।
নুরুল করিম জানান, ৭-৮ বছর আগে তিনি ঘরটি দিয়েছেন। মাত্র ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন। এখন কী করবেন কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না।
খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত নুরুল করিমকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। ক্ষতির পরিমান নিরুপণ করে সহায়তা করা হবে।
