ঢাকা,  শুক্রবার  ০৫ জুলাই ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, পিরোজপুরের ৫ জেলে নিখোঁজ

প্রকাশিত: ১৯:২৯, ২ জুলাই ২০২৪

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, পিরোজপুরের ৫ জেলে নিখোঁজ

ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরে ঢেউয়ের আঘাতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার এফবি ভাই ভাই নামের একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ জেলে দুই দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। রোববার (৩০ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গোপসাগরের নারকেলবাড়িয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) মঠবাড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন- মঠবাড়িয়া উপজেলার ৪নং ছোটমাছুয়া গ্রামের উজ্জাত আলী আকনের ছেলে ইমাদুল হক আকন (৫৩), একই গ্রামের হাফেজ আকনের ছেলে বাহাদুর আকন (২২) ও মোসলেম হাওলাদারের ছেলে সালাম (৫০), ৫নং ছোট মাছুয়া গ্রামের আকব্বর শাহ’র ছেলে আল আমিন শাহ (২৬) ও ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর জুনিয়া গ্রামের মোকলেস হাওলাদারের ছেলে আব্দুর রহমান (৫০)।

এফবি ভাই ভাই ট্রলারের মালিক নজরুল ইসলাম মাঝি জানান, গত ২৬ জুন বিকেলে উপজেলার তুষখালী বাজার থেকে ১২ জন জেলে ও মাঝি নিয়ে ট্রলারটি মাছ ধরার জন্য বঙ্গোপসাগরে যায়। গত ৩০ রাতে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের নারকেলবাড়িয়া এলাকায় মাছ ধরছিল। এ সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ট্রলারে থাকা ১২ জন জেলে ও মাঝি পানিতে পড়ে ভাসতে থাকেন। পরে দিবাগত রাত ৩টার দিকে পাশাপাশি থাকা একটি মাছ ধরার ট্রলার সাতজনকে উদ্ধার করে পটুয়াখালীর মহীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে যায়। বাকি পাঁচ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

উদ্ধার হওয়া জেলে মোশারেফ শাহ বলেন, সোমবার (১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে আমাদের সাতজনকে নিয়ে উদ্ধারকারী ট্রলারটি মহীপুর পৌঁছে। ট্রলারডুবির পর আমরা প্রায় চার ঘণ্টা বঙ্গোপসাগরে ভেসেছিলাম। দীর্ঘসময় ভেসে থাকায় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। মহীপুরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি। আশা করি আজ মঙ্গলবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে পারব।

নিখোঁজ জেলে বাহাদুর আকনের বড় ভাই সোহেল আকন বলেন, নিখোঁজ জেলেদের দুই দিনেও খোঁজ মিলেনি। জানি না আমার ভাই বাহাদুর বেঁচে আছে কি না। আমাদের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।

মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, নজরুল মাঝির এফবি ভাই ভাই নামের একটি ট্রলার নিয়ে ছোটমাছুয়া এলাকার ১২ জন জেলে গত ২৬ জুন মাছ ধরতে সাগরে যায়। রোববার গভীর রাতে ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি ডুবে যায়। পাশাপাশি থাকা একটি ট্রলার সাতজন জেলেকে উদ্ধার করতে পারলেও এখনো পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে। এসব জেলেদের পরিবারে শোকের মাতম চলছে। উদ্ধার হওয়া সাত জেলে মহিপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, গতকাল এ বিষয়ে খবর পেয়েছি। আমরা নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মহিপুর থেকে মাছ ধরার ট্রলারটি সাগরে গিয়েছিল। ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি ডুবে গেছে। আমরা সেখানকার কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। নৌবাহিনী নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছে।