ঢাকা,  সোমবার  ০১ জুলাই ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

চট্টগ্রাম বন্দরে ৫ কোটি টাকার সিগারেট জব্দ

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ২৮ জুন ২০২৪

চট্টগ্রাম বন্দরে ৫ কোটি টাকার সিগারেট জব্দ

সংগৃহিত ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা এক কনটেইনার সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও কাস্টমস গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসব সিগারেট জব্দ করেন।

শুল্ক ফাঁকির উদ্দেশ্যে অপেক্ষাকৃত কম শুল্কের ওয়াটার পিউরিফাইয়ার ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কের সিগারেটের চালানটি আমদানি করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে জব্দ করার কারণে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। চালানটিতে মোট ৫ কোটি টাকার সিগারেট পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, ঢাকার হ্যামকো কর্পোরেশন লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানের নামে ২০ ফুট লম্বা কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ব্যাংককের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানিকারক ওয়াটার পিউরিফাইয়ার আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এতে মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্য থাকতে পারে বলে কাস্টমসের এআইআর শাখা তথ্য পায়। তখনই এটির খালাস আটকে দেওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে কনটেইনারটি নামিয়ে কায়িক পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায়, পানির ফিল্টারের স্থলে আনা হয়েছে আড়াই হাজার কার্টন (৫০ লাখ শলাকা) বিদেশি মন্ড ব্রান্ডের সিগারেট।

চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল চট্টগ্রামের ফাস্ট ট্র্যাক কার্গো সলিউশন লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

জব্দ সিগারেটের বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা উল্লেখ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার একেএম খায়রুল বাশার যুগান্তরকে বলেন, ঠিক কত টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে, তা  হিসাব করে দেখা হচ্ছে।

তিনি জানান, ঘোষিত ওয়াটার পিউরিফাইয়ার আমদানিতে শুল্ক মাত্র ২৬ শতাংশ। আর সিগারেটের শুল্ক ৬০০-৬৫০ শতাংশ। এ থেকে সহজেই অনুমান করা যায়, বিপুল অঙ্কের শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা হয়েছিল।

কাস্টমসের এই কর্মকর্তা বলেন, চালানটির মাধ্যমে যে শুধু শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা হয়েছে তা নয়। আরও অনেক অবৈধ কাজ করা হয়েছে। সিগারেট সাধারণত বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে আমদানি করা যায় না। আনতে হলে সিগারেটের গায়ে বাংলায় সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ লিখে আনতে হয়। এছাড়া সিগারেট উচ্চ শুল্কের পণ্য। ডিপ্লোম্যাটদের জন্য বিশেষ বন্ডেড সুবিধায় কিছু সিগারেট আমদানি করা হয়। এছাড়া সিগারেট বৈধ পথে  আসে না বললেই চলে।

চোরাচালানের মাধ্যমে সিগারেট আমদানি করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন ও প্রযোজ্য সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।